oDesk Part-2
Page 1 of 1
oDesk Part-2
ক্লায়েন্টকে আকর্ষণকরার মত প্রোফাইল তৈরি ও বিড করার কৌশল নিয়ে লিখব আজকে পোস্টে। আশা করি প্রথম পর্বে আপনারা ওডেস্ক সম্পর্কে ভাল ধারণা পেয়েছেন। নতুন যারা তাদের এখন আর ওডেস্কের ব্যাপারে কোন ঝামেলা থাকার কথা না। আজকে থেকে পরের ২টি পর্ব লিখব কাজ পাওয়ার ব্যাপারে।সাথে থাকুন শেষ পর্যন্ত।
কাজ পাওয়াটা নির্ভর করে ৩টি বিষয়ের উপর।
১। প্রোফাইল
২। বিডিং কৌশল
৩। কভার লেটার
১। ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করার মত প্রোফাইল কিভাবে সাজাবেন ?
ক) TITLE: টাইটেলে আপনি যে কাজ করতে চান সেগুলোর সুন্দরভাবে উল্লেখ করুন যাতে যে কেউ বুঝতে পারে আপনি সেকাজগুলোতে দক্ষ।এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটাই আপনার নামের সাথে সবার প্রথমে ক্লায়েন্ট দেখতে পারবে। এটা দেখে ক্লায়েন্ট পছন্দ করলে আপনার বাকি প্রোফাইল দেখতে আগ্রহ বোধ করবে।
যেমনঃ Virtual Assistant with SEO, Graphic and Web Design Experience
খ) Hourly Rate: নতুনদের বলবো একটু কম রেটে বিড করার জন্য, তবে এমন কম নয় যা মার্কেট নষ্ট হয়। সর্ব নিম্ন ৫ ডলার করবেন, তাও প্রথম ফিড ব্যাক পর্যন্ত। এর পর বাড়াতে থাকবেন।
গ) Overview: ওভারভিউ সুন্দর করে লিখবেন। ভাল ভাল প্রোফাইলগুলো দেখেন। সেগুলো থেকে আইডিয়া নিয়ে ভাল একটা ওভারভিউ লিখে ফেলেন নিজের প্রোফাইলের জন্য।
ঘ) Skill : এখানে যা যা পারেন সব যোগ করুন।
ঙ) Employment History: তে আপনার চাকুরীর অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। আপনি Skill এ যা লেখছেন, সে দক্ষতার কোন কাজের উল্লেখ থাকলে ভাল হয়।
চ) Portfolio Projects : এখানে যত গুলো কাজ করেছেন সব উল্ল্যেখ করুন। ভালো ভালো প্রোফাইলে কিভাবে পোর্টফোলিও দিয়েছে দেখুন। সেই ভাবে করুন। যেমনঃ টাইটেলে ভালো একটা টাইটেল দিন, প্রজেক্ট সম্পর্কিত, ক্যাটাগরি দিবেন অবশ্যই সঠিক, প্রজেক্ট যদি লাইভ থাকে তাহলে প্রজেক্ট ইউ আর এল দিবেন, ডেট দিবেন এবং সুন্দর ডেস্ক্রিপশন লিখবেন। আপনি যে যে কাজ করেছেন টোটাল উল্ল্যেখ করবেন। কোন পি ডি এফ থাকলে সেটা উল্লেখ করতে পারেন।
ছ) Certifications : কোন সার্টিফিকেট থাকলে সেটা যোগ করবেন।
জ) টেস্টঃ আপনি যেই সংক্রান্ত কাজ করবেন সেই সম্পর্কিত সব টেষ্ট দিবেন। দয়া করে কেউ ফেইল করলে সেই টেষ্ট প্রোফাইলে দেখাবেননা।
এখানে শুধুমাত্র যেগুলো আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করবে, সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবগুলো আপনার তথ্য দিয়ে অবশ্যই ১০০% করে ফেলবেন। দয়া করে ১০০% করতে কারো সাহায্য নিবেন না। অনেক ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান প্রোফাইল ১০০% করে দেয়ার লোভনীয় অফার দেয়। এটা আপনার জন্য ভবিষ্যতে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২।বিডিং টিপস
ক) যে কাজটির জন্য বিড করবেন, সেটার বর্ণনা ভালভাবে পড়ে বুঝে নিন।
খ) যে কাজে বেশি বিড হয়নি, সেগুলোতে বিড করবেন, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে যাবে। যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয়, তাহলে আপনার এ নিয়ম ভালভাবে পালন করতে হবে।
এখন প্রশ্ন কেন যেখানে বিড পড়েনি সেখানে বিড করব? আপনি একটু নিজেকে দিয়ে ভাবেন। আপনি যখন কোন মার্কেটে যান তখন প্রথম দোকানে মোটামুটি ভাল কোন ড্রেস থাকলে সেটা আপনার কাছে মনে হয় সবচাইতে সেরা ডিজাইন। সেজন্য আপনি
কিনে নেন। যদিও ড্রেস কিনে ফেরার পথে হয়ত অন্য আরো ভাল ড্রেস চোখে পড়তে পারে।সেটার জন্য আফসোস ও হতে পারে।
তেমনি করে আপনি যখন সবার আগে বিড করেন, তখন আপনার প্রোফাইল নতুন হলেও শুধুমাত্র উপরের নিয়মে ভালভাবে প্রোফাইল তৈরি করার কারনে ক্লায়েন্টের কাছে মনে হতে পারে কাজ করানোর জন্য সে সবচাইতে সেরা ব্যক্তিকে খুজে পেয়েছে।এজন্য আপনাকে কাজ দিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অনেকে বিড করলে সকল প্রোফাইলের সাথে আপনার প্রোফাইল তুলনার করার সুযোগ থাকবে বায়ারের। তখন অন্যের সাথে তুলনাতে আপনার প্রোফাইল ক্লায়েন্টের কাছে পছন্দ নাও হতে পারে।
গ) এক সপ্তাহে আপনি সর্বোচ্চ ২০টি বিড করতে পারবেন। সুতরাং আপনার এ কোটা ভালভাবে বুঝে ব্যবহার করবেন।শুধু শুধু বিড করে কোন আপনার কোটা নস্ট করে কোন লাভ নেই।
ঘ) খুব বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন কারনে মেসেজ দিলে সেটার উত্তর দিতে দেরি না হয়।
ঙ) বিড করার আগে অবশ্যই ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করে নিবেন।
ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করার সময় যে যে বিষয় লক্ষ্য করবেন:
- ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।
- ক্লায়েন্ট এখন পযন্ত কত ঘন্টা কাজ করিয়েছে।
- আপনি যে টাইপ কাজে বিড করছেন, সে টাইপের কাজ ক্লায়েন্ট আগে করায়ে থাকলে সেটা কত রেটে করায়েছে, সেটা খেয়াল করবেন। সে অনুযায়ি বিড করবেন।
চ) আগের পর্বে ছবিতে Apply to this job নামের একটি বাটনের ছবি দেখিয়েছিলাম, সেখানে ক্লিক করুলে যে পেজ আসবে সেখানে Propose Terms নামে যে বক্স আছে সেখানে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু থাকলে দিতে পারেন, দিলে ভাল হবে। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন।
আগামী পর্বে কভার লেটার, পেমেন্ট সিস্টেমসহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে লিখব। সে পযন্ত অপেক্ষা করুন।
আগামী পর্ব রবিবারের আগে দিতে পারবনা। ধানমন্ডিতে ক্রিয়েটিভ আইটির উদ্যোগে ৩০০জনকে নিয়ে আউটসোর্সিং সেমিনার, কুইজ পুরস্কার বিতরন এবং এবারের বেসির অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আলী আসগর ও জাহিদকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।এত বড় পোগ্রাম আয়োজনের বিশাল দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সেজন্য অনেক ব্যস্ত থাকব এ কয়দিন।
কাজ পাওয়াটা নির্ভর করে ৩টি বিষয়ের উপর।
১। প্রোফাইল
২। বিডিং কৌশল
৩। কভার লেটার
১। ক্লায়েন্টকে আকর্ষণ করার মত প্রোফাইল কিভাবে সাজাবেন ?
ক) TITLE: টাইটেলে আপনি যে কাজ করতে চান সেগুলোর সুন্দরভাবে উল্লেখ করুন যাতে যে কেউ বুঝতে পারে আপনি সেকাজগুলোতে দক্ষ।এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন এটাই আপনার নামের সাথে সবার প্রথমে ক্লায়েন্ট দেখতে পারবে। এটা দেখে ক্লায়েন্ট পছন্দ করলে আপনার বাকি প্রোফাইল দেখতে আগ্রহ বোধ করবে।
যেমনঃ Virtual Assistant with SEO, Graphic and Web Design Experience
খ) Hourly Rate: নতুনদের বলবো একটু কম রেটে বিড করার জন্য, তবে এমন কম নয় যা মার্কেট নষ্ট হয়। সর্ব নিম্ন ৫ ডলার করবেন, তাও প্রথম ফিড ব্যাক পর্যন্ত। এর পর বাড়াতে থাকবেন।
গ) Overview: ওভারভিউ সুন্দর করে লিখবেন। ভাল ভাল প্রোফাইলগুলো দেখেন। সেগুলো থেকে আইডিয়া নিয়ে ভাল একটা ওভারভিউ লিখে ফেলেন নিজের প্রোফাইলের জন্য।
ঘ) Skill : এখানে যা যা পারেন সব যোগ করুন।
ঙ) Employment History: তে আপনার চাকুরীর অভিজ্ঞতা উল্লেখ করুন। আপনি Skill এ যা লেখছেন, সে দক্ষতার কোন কাজের উল্লেখ থাকলে ভাল হয়।
চ) Portfolio Projects : এখানে যত গুলো কাজ করেছেন সব উল্ল্যেখ করুন। ভালো ভালো প্রোফাইলে কিভাবে পোর্টফোলিও দিয়েছে দেখুন। সেই ভাবে করুন। যেমনঃ টাইটেলে ভালো একটা টাইটেল দিন, প্রজেক্ট সম্পর্কিত, ক্যাটাগরি দিবেন অবশ্যই সঠিক, প্রজেক্ট যদি লাইভ থাকে তাহলে প্রজেক্ট ইউ আর এল দিবেন, ডেট দিবেন এবং সুন্দর ডেস্ক্রিপশন লিখবেন। আপনি যে যে কাজ করেছেন টোটাল উল্ল্যেখ করবেন। কোন পি ডি এফ থাকলে সেটা উল্লেখ করতে পারেন।
ছ) Certifications : কোন সার্টিফিকেট থাকলে সেটা যোগ করবেন।
জ) টেস্টঃ আপনি যেই সংক্রান্ত কাজ করবেন সেই সম্পর্কিত সব টেষ্ট দিবেন। দয়া করে কেউ ফেইল করলে সেই টেষ্ট প্রোফাইলে দেখাবেননা।
এখানে শুধুমাত্র যেগুলো আপনার কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাবিত করবে, সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবগুলো আপনার তথ্য দিয়ে অবশ্যই ১০০% করে ফেলবেন। দয়া করে ১০০% করতে কারো সাহায্য নিবেন না। অনেক ট্রেনিং প্রতিষ্ঠান প্রোফাইল ১০০% করে দেয়ার লোভনীয় অফার দেয়। এটা আপনার জন্য ভবিষ্যতে খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
২।বিডিং টিপস
ক) যে কাজটির জন্য বিড করবেন, সেটার বর্ণনা ভালভাবে পড়ে বুঝে নিন।
খ) যে কাজে বেশি বিড হয়নি, সেগুলোতে বিড করবেন, কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর বেড়ে যাবে। যদি আপনার প্রোফাইল নতুন হয়, তাহলে আপনার এ নিয়ম ভালভাবে পালন করতে হবে।
এখন প্রশ্ন কেন যেখানে বিড পড়েনি সেখানে বিড করব? আপনি একটু নিজেকে দিয়ে ভাবেন। আপনি যখন কোন মার্কেটে যান তখন প্রথম দোকানে মোটামুটি ভাল কোন ড্রেস থাকলে সেটা আপনার কাছে মনে হয় সবচাইতে সেরা ডিজাইন। সেজন্য আপনি
কিনে নেন। যদিও ড্রেস কিনে ফেরার পথে হয়ত অন্য আরো ভাল ড্রেস চোখে পড়তে পারে।সেটার জন্য আফসোস ও হতে পারে।
তেমনি করে আপনি যখন সবার আগে বিড করেন, তখন আপনার প্রোফাইল নতুন হলেও শুধুমাত্র উপরের নিয়মে ভালভাবে প্রোফাইল তৈরি করার কারনে ক্লায়েন্টের কাছে মনে হতে পারে কাজ করানোর জন্য সে সবচাইতে সেরা ব্যক্তিকে খুজে পেয়েছে।এজন্য আপনাকে কাজ দিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু অনেকে বিড করলে সকল প্রোফাইলের সাথে আপনার প্রোফাইল তুলনার করার সুযোগ থাকবে বায়ারের। তখন অন্যের সাথে তুলনাতে আপনার প্রোফাইল ক্লায়েন্টের কাছে পছন্দ নাও হতে পারে।
গ) এক সপ্তাহে আপনি সর্বোচ্চ ২০টি বিড করতে পারবেন। সুতরাং আপনার এ কোটা ভালভাবে বুঝে ব্যবহার করবেন।শুধু শুধু বিড করে কোন আপনার কোটা নস্ট করে কোন লাভ নেই।
ঘ) খুব বেশি অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন, যাতে ক্লায়েন্ট আপনাকে কোন কারনে মেসেজ দিলে সেটার উত্তর দিতে দেরি না হয়।
ঙ) বিড করার আগে অবশ্যই ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করে নিবেন।
ক্লায়েন্টের প্রোফাইল চেক করার সময় যে যে বিষয় লক্ষ্য করবেন:
- ক্লায়েন্টের পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।
- ক্লায়েন্ট এখন পযন্ত কত ঘন্টা কাজ করিয়েছে।
- আপনি যে টাইপ কাজে বিড করছেন, সে টাইপের কাজ ক্লায়েন্ট আগে করায়ে থাকলে সেটা কত রেটে করায়েছে, সেটা খেয়াল করবেন। সে অনুযায়ি বিড করবেন।
চ) আগের পর্বে ছবিতে Apply to this job নামের একটি বাটনের ছবি দেখিয়েছিলাম, সেখানে ক্লিক করুলে যে পেজ আসবে সেখানে Propose Terms নামে যে বক্স আছে সেখানে Paid to You-এর ডান পাশের বক্সে ডলারের পরিমাণ লিখুন, মানে কত ডলারে আপনি কাজটি করতে চাচ্ছেন। ঘণ্টাভিত্তিক (আওয়ারলি) কাজ হলে প্রতি ঘণ্টায় কত ডলার হারে কাজটি করতে চাচ্ছেন, তা লিখুন। তারপর Cover Letter বক্সে একটি কভার লেটার লিখুন। এ-সম্পর্কিত কোনো কাজ আগে করে থাকলে তা উল্লেখ করতে পারেন। Attachment: এ কিছু থাকলে দিতে পারেন, দিলে ভাল হবে। এখন Agree to Terms: বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Apply to this job বাটনে ক্লিক করুন। নতুন পেজ এলে Yes, I Understand বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে Continue to Apply বাটনে ক্লিক করুন।
আগামী পর্বে কভার লেটার, পেমেন্ট সিস্টেমসহ আরো কিছু বিষয় নিয়ে লিখব। সে পযন্ত অপেক্ষা করুন।
আগামী পর্ব রবিবারের আগে দিতে পারবনা। ধানমন্ডিতে ক্রিয়েটিভ আইটির উদ্যোগে ৩০০জনকে নিয়ে আউটসোর্সিং সেমিনার, কুইজ পুরস্কার বিতরন এবং এবারের বেসির অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত আলী আসগর ও জাহিদকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।এত বড় পোগ্রাম আয়োজনের বিশাল দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। সেজন্য অনেক ব্যস্ত থাকব এ কয়দিন।
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum